সাংবাদিককে ডেকে বেধড়ক মারলেন তৃণমূল নেতা : দিলেন প্রাণনাশের হুমকি

24th September 2021 6:00 pm বাঁকুড়া
সাংবাদিককে ডেকে বেধড়ক মারলেন তৃণমূল নেতা : দিলেন প্রাণনাশের হুমকি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের আক্রান্ত গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এবার বাড়ি থেকে ডেকে এনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তন্ময় চৌধুরী নামে এক সাংবাদিককে ব্যাপক মারধোর, খুনের হুমকি ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতা তুহিন মাণ্ডি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে অভিযুক্ত তুহিন মাণ্ডি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডির স্বামী। শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের ঘটনা।

   একাধিক নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিক তন্ময় চৌধুরীর অভিযোগ, এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত জনৈক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফোন করে খাতড়া শহরের তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ডেকে আনে। ঐ জায়গায় আসার পর মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডির স্বামী তুহিন মাণ্ডির উপস্থিতি ও উস্কানীতে তৃণমূল কর্মী রমেশ রায় ব্যাপক মারধোর, গালিগালাজ, খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি দু'টি মোবাইল কেড়ে নেয়। তার মধ্যে একটি মোবাইল ভেঙ্গে দেয় বলে তার অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যান্য সাংবাদিকদের সহযোগীতায় তিনি খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়। পরে তিনি  অভিযুক্ত তুহিন মাণ্ডি সহ অন্যান্যদের নামে খাতড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে বিষয়টি এসডিপিও, খাতড়া ও জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

    সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খাতড়া মহকুমা প্রেস ক্লাব। সংগঠনের সম্পাদক রাহুল কর্মকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।